আপনার পীর আপনার রব নয়তো ?
আপনার পীর আপনার রব নয়তো ?
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ
‘‘আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্ ছাড়া অন্যকে আল্লাহ্র সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহকে ভালবাসার মত তাদেরকে ভালবাসে; কিন্তু যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্র প্রতি ভালবাসায় তারা সুদৃঢ়।’
’(সূরা আল-বাকারা:১৬৫)
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:
.
ﺇﺗﺨَﺬُﻭﺍ ﺃَﺣْﺒَﺎﺭَﻫُﻢْ ﻭَﺭُﻫْﺒَﺎﻧَﻬُﻢْ ﺃَﺭْﺑَﺎﺑًﺎ ﻣِﻦْ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢَ ﺍﺑْﻦَ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺇِﻟَﻬًﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ
.
‘তারা আল্লাহকে ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং মরিয়ম-পুত্র মাসীহকেও। অথচ তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র এক ইলাহ এর ইবাদতের জন্য, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তারা যে শরীক সাব্যস্ত করে তা থেকে তিনি পবিত্র। (সূরা তাওবা: ৩১)
.
এখন প্রশ্ন আসে, তারা তাদেরকে রব বলে বিশ্বাস বা স্বীকার করতো না কিংবা তাদের ইবাদতও করতো না। বরং তারা আল্লাহকেই রব বলে স্বীকার করতো ও তাঁরই ইবাদত করতো।
.
ﺇﺗﺨَﺬُﻭﺍ ﺃَﺣْﺒَﺎﺭَﻫُﻢْ ﻭَﺭُﻫْﺒَﺎﻧَﻬُﻢْ ﺃَﺭْﺑَﺎﺑًﺎ ﻣِﻦْ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢَ ﺍﺑْﻦَ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺇِﻟَﻬًﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ
.
‘তারা আল্লাহকে ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং মরিয়ম-পুত্র মাসীহকেও। অথচ তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র এক ইলাহ এর ইবাদতের জন্য, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তারা যে শরীক সাব্যস্ত করে তা থেকে তিনি পবিত্র। (সূরা তাওবা: ৩১)
.
এখন প্রশ্ন আসে, তারা তাদেরকে রব বলে বিশ্বাস বা স্বীকার করতো না কিংবা তাদের ইবাদতও করতো না। বরং তারা আল্লাহকেই রব বলে স্বীকার করতো ও তাঁরই ইবাদত করতো।
তার প্রধান নিচের আয়াত
সূরা ইউনুস (يونس), আয়াত: ৩১
قُلْ مَن يَرْزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ أَمَّن يَمْلِكُ ٱلسَّمْعَ وَٱلْأَبْصَٰرَ وَمَن يُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ ٱلْمَيِّتَ مِنَ ٱلْحَىِّ وَمَن يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ فَسَيَقُولُونَ ٱللَّهُ فَقُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ
অর্থঃ তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ! তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না?
অর্থঃ তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ! তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না?
.
তাহলে তাদের পাদ্রী ও পন্ডিতরা তাদের রব কিভাবে হয়??
.
এর উত্তর এসেছে ইমাম বুখারী (রঃ) এর বর্ণিত একটি হাদিসেঃ
.
ﻏﻄﻴﻒ ﺑﻦ ﺃﻋﻴﻦ ﺍﻟﺸﻴﺒﺎﻧﻲ ﻗﺎﻝ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻧﺎ ﻣﺎﻟﻚ ﺑﻦ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﻗﺎﻝ ﻧﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺑﻦ ﺣﺮﺏ ﻗﺎﻝ ﻧﺎ ﻏﻄﻴﻒ ﺑﻦ ﺃﻋﻴﻦ ﻋﻦ ﻣﺼﻌﺐ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ﻋﻦ ﻋﺪﻱ ﺑﻦ ﺣﺎﺗﻢ ﻗﺎﻝ ﺃﺗﻴﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻓﻲ ﻋﻨﻘﻲ ﺻﻠﻴﺐ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﻋﺪﻱ ﺍﻃﺮﺡ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻮﺛﻦ ﻣﻦ ﻋﻨﻘﻚ ﻓﻄﺮﺣﺘﻪ ﻓﺎﻧﺘﻬﻴﺖ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﻫﻮ ﻳﻘﺮﺃ ﻓﻲ ﺳﻮﺭﺓ ﺑﺮﺍﺀﺓ ﺍﺗﺨﺬﻭﺍ ﺃﺣﺒﺎﺭﻫﻢ ﻭﺭﻫﺒﺎﻧﻬﻢ ﺃﺭﺑﺎﺑﺎ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻘﻠﺖ ﺇﻧﺎ ﻟﺴﻨﺎ ﻧﻌﺒﺪﻫﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺤﺮﻣﻮﻥ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﺤﺮﻣﻮﻥ ﻭﻳﺤﻠﻮﻥ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﺴﺘﺤﻠﻮﻥ ﻗﻠﺖ ﺑﻠﻰ ﻗﺎﻝ ﻓﺘﻠﻚ ﻋﺒﺎﺩﺗﻬﻢ
.
অর্থাৎ, আদী ইবনে হাতেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি গলায় একটি ক্রুশ ঝুলন্ত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলে তিনি বললেন, হে আদী এই মূর্তিটি তুমি তোমার গলা থেকে ছুঁড়ে ফেল।
.
ফলে আমি তা খুলে ফেললাম, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সা) এর নিকটে এসে দেখতে পেলাম, তিনি সূরা তওবা তিলাওয়াত করছেন: “তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে।”
.
আমি বললাম, আমরা তো তাদের ইবাদত করতাম না। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন তারা তা হারাম করত আর তোমরাও তা হারাম মানতে এবং আল্লাহ তা‘আলা যা হারাম করেছেন তারা তা হালাল করত আর তোমরাও তাকে হালাল মানতে। আমি বললাম, হ্যাঁ এমনটিই। তিনি বললেন, এটিই তাদের ইবাদত।
.
(তারিখুল কাবীর লিল ইমাম বুখারী; সুনানে তিরমিযি: ৩০৯৫; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী: ২০৩৫০, হাসান-সহীহ)
তাহলে তাদের পাদ্রী ও পন্ডিতরা তাদের রব কিভাবে হয়??
.
এর উত্তর এসেছে ইমাম বুখারী (রঃ) এর বর্ণিত একটি হাদিসেঃ
.
ﻏﻄﻴﻒ ﺑﻦ ﺃﻋﻴﻦ ﺍﻟﺸﻴﺒﺎﻧﻲ ﻗﺎﻝ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻧﺎ ﻣﺎﻟﻚ ﺑﻦ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﻗﺎﻝ ﻧﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺑﻦ ﺣﺮﺏ ﻗﺎﻝ ﻧﺎ ﻏﻄﻴﻒ ﺑﻦ ﺃﻋﻴﻦ ﻋﻦ ﻣﺼﻌﺐ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ﻋﻦ ﻋﺪﻱ ﺑﻦ ﺣﺎﺗﻢ ﻗﺎﻝ ﺃﺗﻴﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻓﻲ ﻋﻨﻘﻲ ﺻﻠﻴﺐ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﻋﺪﻱ ﺍﻃﺮﺡ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻮﺛﻦ ﻣﻦ ﻋﻨﻘﻚ ﻓﻄﺮﺣﺘﻪ ﻓﺎﻧﺘﻬﻴﺖ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﻫﻮ ﻳﻘﺮﺃ ﻓﻲ ﺳﻮﺭﺓ ﺑﺮﺍﺀﺓ ﺍﺗﺨﺬﻭﺍ ﺃﺣﺒﺎﺭﻫﻢ ﻭﺭﻫﺒﺎﻧﻬﻢ ﺃﺭﺑﺎﺑﺎ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻘﻠﺖ ﺇﻧﺎ ﻟﺴﻨﺎ ﻧﻌﺒﺪﻫﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺤﺮﻣﻮﻥ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﺤﺮﻣﻮﻥ ﻭﻳﺤﻠﻮﻥ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﺴﺘﺤﻠﻮﻥ ﻗﻠﺖ ﺑﻠﻰ ﻗﺎﻝ ﻓﺘﻠﻚ ﻋﺒﺎﺩﺗﻬﻢ
.
অর্থাৎ, আদী ইবনে হাতেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি গলায় একটি ক্রুশ ঝুলন্ত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলে তিনি বললেন, হে আদী এই মূর্তিটি তুমি তোমার গলা থেকে ছুঁড়ে ফেল।
.
ফলে আমি তা খুলে ফেললাম, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সা) এর নিকটে এসে দেখতে পেলাম, তিনি সূরা তওবা তিলাওয়াত করছেন: “তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে।”
.
আমি বললাম, আমরা তো তাদের ইবাদত করতাম না। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন তারা তা হারাম করত আর তোমরাও তা হারাম মানতে এবং আল্লাহ তা‘আলা যা হারাম করেছেন তারা তা হালাল করত আর তোমরাও তাকে হালাল মানতে। আমি বললাম, হ্যাঁ এমনটিই। তিনি বললেন, এটিই তাদের ইবাদত।
.
(তারিখুল কাবীর লিল ইমাম বুখারী; সুনানে তিরমিযি: ৩০৯৫; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী: ২০৩৫০, হাসান-সহীহ)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন