মাপে ' ওজনে কম দেয়া
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সঠিক ওজন কায়েম করো এবং ওজনে কম দিও না।’ (সূরা রহমান : ৯)। অন্যত্র বলেন, ‘তোমরা মাপ ও ওজন পূর্ণ করে দাও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে। আমরা কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কষ্ট দিই না।’ (সূরা আনআম : ১৫২)।
ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিমাণ এবং ওজনে কমবেশি করা বা ঠকানোর মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন একটি জঘন্য অপরাধ। মানুষ মাত্রাতিরিক্ত লোভ ও অল্পে তুষ্ট না হওয়ার কারণেই অবৈধ পন্থায় উপার্জনের পেছনে ছুটে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ ধরনের কাজকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, নিন্দনীয় ও পরকালীন দুর্ভোগের কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, ‘যারা মাপে কম দেয়, তাদের জন্য দুর্ভোগ। এরা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পূর্ণমাত্রায় নেয় এবং যখন মেপে দেয় তখন কম করে দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে? সেই মহা দিবসে যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব প্রতিপালকের সামনে।’ (সূরা মুতাফফিফিন : ১-৬)।
ব্যবসা একটি পবিত্র পেশা। পবিত্রতা ও সততার মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালিত হলে সেখানে অন্যায়-অনিয়ম ঠাঁই পেতে পারে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই ঠকবে না সৎভাবে ব্যবসা করলে। কিন্তু ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সেই সততা ও পবিত্রতার ঘাটতি বর্তমানে ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঠকবাজি ও জুয়াচুরির মাধ্যমে ওজনে কম দেয়া বা বেশি নেয়া মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলছে।
ওজনে বা মাপে কম দেয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখনই কোনো জনগোষ্ঠী মাপ ও ওজনে কম দেয়, তখনই তাদের দুর্ভিক্ষ, খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি ও অত্যাচারী শাসকের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।’ (বোখারি)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘পাঁচটি বস্তু পাঁচটি বস্তুর কারণে হয়ে থাকে। ১. কোনো জাতি চুক্তি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর তাদের শত্রুকে বিজয়ী করে দেন। ২. কেউ আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানের বাইরে বিধান দিলে তাদের মধ্যে দারিদ্র্য ছড়িয়ে পড়ে। ৩. কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। ৪. কেউ মাপে বা ওজনে কম দিলে তাদের জন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে। ৫. কেউ জাকাত দেয়া বন্ধ করলে তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেয়া হয়।’ (সুনানে দায়লামি ও কুরতুবি)।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে জাতির মধ্যে খেয়ানত অর্থাৎ আত্মসাতের ব্যাধি আধিক্য লাভ করে, সে জাতির অন্তরে আল্লাহ শত্রুর ভয় সৃষ্টি করে দেন। যে জাতির মধ্যে জিনা-ব্যভিচার বিস্তার লাভ করে, সে জাতির মধ্যে মৃত্যুহার বেড়ে যায়। যে জাতি মাপে ও ওজনে কম দেয়, তাদের রিজিক উঠিয়ে নেয়া হয়। যে জাতি অন্যায় বিচার করে, তাদের মধ্যে খুন-খারাবি ব্যাপক হয়। যে জাতি অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাদের ওপর শত্রুকে চাপিয়ে দেয়া হয়।’ (মুওয়াত্তা মালেক ও মেশকাত)।
মাপে কম দেয়াসহ নানা অপরাধের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করে চলেন, তাদের কথা ভিন্ন। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কেয়ামতের দিন উপস্থিত হবে পাপাচারী হিসেবে। শুধু সেসব ব্যবসায়ী ব্যতীত, যারা আল্লাহভীরু, সৎকর্মশীল ও সত্যবাদী।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) যখন বাজারে যেতেন, তখন বিক্রেতাদের উদ্দেশে রাসুল (সা.) এর হাদিস শুনিয়ে বলতেন, ‘আল্লাহকে ভয় করো। কেননা মাপে কমদানকারীরা কেয়ামতের দিন দাঁড়িয়ে থাকবে এমন অবস্থায়, ঘামে তাদের কানের অর্ধেক পর্যন্ত ডুবে যাবে।’ (বোখারি ও মুসলিম)। মাপে কম দেয়ার কারণে অতীতে অনেক জনগোষ্ঠীকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছেন। শোয়াইব (আ.) এর জাতির কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তারা অন্যান্য পাপের সঙ্গে ওজনে কম দেয়ার পাপে সীমা ছাড়িয়ে গেলে আল্লাহ তাদের সমূলে ধ্বংস করে দেন। সূরা আরাফে এ ঘটনা বিস্তারিতভাবে এসেছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিমাণ এবং ওজনে কমবেশি করা বা ঠকানোর মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন একটি জঘন্য অপরাধ। মানুষ মাত্রাতিরিক্ত লোভ ও অল্পে তুষ্ট না হওয়ার কারণেই অবৈধ পন্থায় উপার্জনের পেছনে ছুটে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ ধরনের কাজকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, নিন্দনীয় ও পরকালীন দুর্ভোগের কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, ‘যারা মাপে কম দেয়, তাদের জন্য দুর্ভোগ। এরা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পূর্ণমাত্রায় নেয় এবং যখন মেপে দেয় তখন কম করে দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে? সেই মহা দিবসে যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব প্রতিপালকের সামনে।’ (সূরা মুতাফফিফিন : ১-৬)।
ব্যবসা একটি পবিত্র পেশা। পবিত্রতা ও সততার মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালিত হলে সেখানে অন্যায়-অনিয়ম ঠাঁই পেতে পারে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই ঠকবে না সৎভাবে ব্যবসা করলে। কিন্তু ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সেই সততা ও পবিত্রতার ঘাটতি বর্তমানে ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঠকবাজি ও জুয়াচুরির মাধ্যমে ওজনে কম দেয়া বা বেশি নেয়া মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলছে।
ওজনে বা মাপে কম দেয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখনই কোনো জনগোষ্ঠী মাপ ও ওজনে কম দেয়, তখনই তাদের দুর্ভিক্ষ, খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি ও অত্যাচারী শাসকের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।’ (বোখারি)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘পাঁচটি বস্তু পাঁচটি বস্তুর কারণে হয়ে থাকে। ১. কোনো জাতি চুক্তি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর তাদের শত্রুকে বিজয়ী করে দেন। ২. কেউ আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানের বাইরে বিধান দিলে তাদের মধ্যে দারিদ্র্য ছড়িয়ে পড়ে। ৩. কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। ৪. কেউ মাপে বা ওজনে কম দিলে তাদের জন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে। ৫. কেউ জাকাত দেয়া বন্ধ করলে তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেয়া হয়।’ (সুনানে দায়লামি ও কুরতুবি)।
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে জাতির মধ্যে খেয়ানত অর্থাৎ আত্মসাতের ব্যাধি আধিক্য লাভ করে, সে জাতির অন্তরে আল্লাহ শত্রুর ভয় সৃষ্টি করে দেন। যে জাতির মধ্যে জিনা-ব্যভিচার বিস্তার লাভ করে, সে জাতির মধ্যে মৃত্যুহার বেড়ে যায়। যে জাতি মাপে ও ওজনে কম দেয়, তাদের রিজিক উঠিয়ে নেয়া হয়। যে জাতি অন্যায় বিচার করে, তাদের মধ্যে খুন-খারাবি ব্যাপক হয়। যে জাতি অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাদের ওপর শত্রুকে চাপিয়ে দেয়া হয়।’ (মুওয়াত্তা মালেক ও মেশকাত)।
মাপে কম দেয়াসহ নানা অপরাধের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করে চলেন, তাদের কথা ভিন্ন। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কেয়ামতের দিন উপস্থিত হবে পাপাচারী হিসেবে। শুধু সেসব ব্যবসায়ী ব্যতীত, যারা আল্লাহভীরু, সৎকর্মশীল ও সত্যবাদী।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) যখন বাজারে যেতেন, তখন বিক্রেতাদের উদ্দেশে রাসুল (সা.) এর হাদিস শুনিয়ে বলতেন, ‘আল্লাহকে ভয় করো। কেননা মাপে কমদানকারীরা কেয়ামতের দিন দাঁড়িয়ে থাকবে এমন অবস্থায়, ঘামে তাদের কানের অর্ধেক পর্যন্ত ডুবে যাবে।’ (বোখারি ও মুসলিম)। মাপে কম দেয়ার কারণে অতীতে অনেক জনগোষ্ঠীকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছেন। শোয়াইব (আ.) এর জাতির কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তারা অন্যান্য পাপের সঙ্গে ওজনে কম দেয়ার পাপে সীমা ছাড়িয়ে গেলে আল্লাহ তাদের সমূলে ধ্বংস করে দেন। সূরা আরাফে এ ঘটনা বিস্তারিতভাবে এসেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন