পোস্টগুলি

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

অন্তরে আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালো বাসা

 উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক লোক যার নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ্ আর ডাকনাম ছিল হিমার। এ লোকটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম' শরাব পান করার অপরাধে তাকে বেত্রাঘাত করেছিলেন। একদিন তাকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চাবুক মারার আদেশ দিলেন। তাকে চাবুক মারা হল। তখন দলের মাঝ থেকে এক লোক বলল, হে আল্লাহ্! তার উপর লা‘নত বর্ষণ করুন! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে কতবার যে আনা হল!  তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ  তাকে লা‘নত করো না।  আল্লাহর কসম! আমি জানি যে, সে আল্লাহ্ এবং তাঁর  রাসূলকে ভালবাসে। بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ لَعْنِ شَارِبِ الْخَمْرِ وَإِنَّهُ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِنْ الْمِلَّةِ يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ رَجُلاً عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ ص...

দাজ্জাল কে, কোথা থেকে বের হবে, তার ফিতনা কীভাবে হবে, কে তাকে হত্যা করবে, আমাদের করণীয় কী?

  • দাজ্জাল কে? • কোথা থেকে বের হবে? • তার ফিতনা কীভাবে হবে? • কে তাকে হত্যা করবে? • আমাদের করণীয় কী? ১. দাজ্জালের পরিচয় ও অবস্থা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “দাজ্জাল হবে একচোখা। তার ডান চোখ অন্ধ। সে জান্নাত ও জাহান্নামের মত কিছু নিয়ে আসবে, অথচ তার জাহান্নামই আসলে জান্নাত হবে, আর জান্নাত হবে জাহান্নাম।” সহীহ মুসলিম: 2936, বুখারী: 7127 ২. দাজ্জাল কোথা থেকে বের হবে? হাদীস ১: “দাজ্জাল খুরাসান অঞ্চল থেকে বের হবে। তার সঙ্গে থাকবে সত্তর হাজার ইহুদি, যাদের মাথায় থাকবে ফারসিদের চাদর।” সুনান তিরমিযি: 2237 (সহীহ) হাদীস ২: “সে (দাজ্জাল) শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে বের হবে এবং ডান ও বামে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।” সহীহ মুসলিম: 2937 ৩. দাজ্জালের বর্তমান অবস্থান (তামীম আদ-দারী রা. এর হাদীস) রাসূল ﷺ বলেন: “তামীম আদ-দারী একজন খ্রিস্টান ছিলেন, পরে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি একবার একটি দ্বীপে গমন করেন এবং সেখানে শৃঙ্খলাবদ্ধ এক বিশাল লোককে দেখতে পান, যে নিজেকে ‘দাজ্জাল’ বলে পরিচয় দেয়।” সহীহ মুসলিম: 2942 অর্থাৎ, দাজ্জাল এখনো মুক্ত নয়, আল্লাহর হুকুমে এক সময় সে বের হবে। ৪. মক্কা ও মদীনায় প্রবেশ করতে পারব...

গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে তোমাদেরকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ

গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে তোমাদেরকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ وَإِنَّ لَكُمْ فِى ٱلْأَنْعَٰمِ لَعِبْرَةًۖ نُّسْقِيكُم مِّمَّا فِى بُطُونِهِۧ مِنۢ بَيْنِ فَرْثٍ وَدَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَآئِغًا لِّلشَّٰرِبِينَ  আর নিশ্চয় গবাদি পশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। তার পেটের গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে [১] তোমাদেরকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ, যা পানকারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যকর। [১] গোবর ও রক্তের মাঝখান দিয়ে পরিস্কার দুধ বের করা সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ জন্তুর ভক্ষিত ঘাস তার পাকস্থলীতে একত্রিত হলে পাকস্থলী তা সিদ্ধ করে। পাকস্থলীর এই ক্রিয়ার ফলে খাদ্যের বিষ্ঠা নীচে বসে যায় এবং দুধ উপরে থেকে যায়। দুধের উপরে থাকে রক্ত। এরপর যকৃত এই তিন প্রকার বস্তুকে পৃথকভাবে তাদের স্থানে ভাগ করে দেয়, রক্ত পৃথক করে রগের মধ্যে চালায় এবং দুধ পৃথক করে জন্তুর স্তনে পৌঁছে দেয়। এখন পাকস্থলীতে শুধু বিষ্ঠা থেকে যায়, যা গোবর হয়ে বের হয়ে আসে। [ইবন কাসীর] প্রকৃতিতে এমন কে আছে যে চতুষ্পদ জন্তুরা যে খাবার খায়, যে পানীয় গ্রহণ করে সেটাকে দুধে রুপান্তরিত করতে পারে? [সা’দী] এ আয়াত থেকে আর...

জাহান্নামের ফেরেশতা ১৯ জন

জাহান্নামের প্রহরী ঊনিশজন যখন জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাদের কথা আল্লাহ তা‘আলা ঊনিশজন বলে উল্লেখ করলেন তখন আবূ জাহল কুরাইশদেরকে সম্বোধন করে বলল : তোমাদের থেকে প্রত্যেকে দশজনের একটি দল এক এক জন ফেরেশতার জন্য যথেষ্ট নও কি? কেউ বলেন : কাতাদাহ নামক এক ব্যক্তি (যে নিজ শক্তির ব্যাপারে বড়ই অহংকারী ছিল) সে বলল : তোমরা কেবল দু’জন ফেরেশতাকে সামলে নিও, বাকী সতের জন ফেরেশতার জন্য আমি একাই যথেষ্ট। বলা হয়, এ লোকই কয়েকবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুস্তি লড়াই করার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিল। অথচ প্রত্যেকবারেই সে হার মেনেছে। কিন্তু ঈমান আনেনি - তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ  সুরা - আল  মুদ্দাসসির৷ আয়াত ৩০ 

আমার উম্মাতের কতক গোত্র মুশরিকদের সাথে যোগ দিবে।

সাওবান রাঃ হতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মহান আল্লাহ বলেন) আমি তোমার উম্মাতকে দুর্ভিক্ষপীড়িত করে তাদের ধ্বংস করবো না এবং তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল বিরোধী শক্তিকে যুগপৎ একত্র করবো না, যতক্ষণ না তারা পরস্পরকে ধ্বংস করে এবং একে অপরকে হত্যা করে”।  আমার উম্মাতের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হলে কিয়ামত পর্যন্ত আর অস্ত্রবিরতি হবে না। আমি আমার উম্মাতের ব্যাপারে অধিক ভয় করছি পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দের। অচিরেই আমার উম্মাতের কোন কোন গোত্র বা সম্প্রদায় প্রতিমা পূজায় লিপ্ত হবে এবং আমার উম্মাতের কতক গোত্র মুশরিকদের সাথে যোগ দিবে। [৩২৮৪] - [মূল হাদিসের খন্ডাংশ]  -- সুনানে ইবনে মাজাহ:৩৯৫২ (সহিহ)

প্রত্যেক উম্মতের জন্য ইবাদতের পদ্ধতি নির্ধারিত

আমরা প্রত্যেক উম্মতের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছি ‘মানসাক’ [১] (ইবাদাত পদ্ধতি) যা তারা পালন করে। কাজেই তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আর আপনি আপনার রব-এর দিকে ডাকুন, আপনি তো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত।   আল-হাজ্জ - 22:67 Bengali - Tafsir Abu Bakr Zakaria [১] আয়াতের منسك শব্দটি مصدر ধরে অর্থ করা হবে, শরী‘আত। [কুরতুবী] অর্থাৎ প্রত্যেক নবীর উম্মতের জন্যই আল্লাহ্‌ তা’আলা সুনির্দিষ্ট শরী‘আত ও ইবাদাত পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন। তারা সে অনুসারে ইবাদাত করবে। যদিও তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পার্থক্য ছিল। কিন্তু মূল আদল, হিকমতে কোন পার্থক্য ছিল না। [সা‘দী] সে সব উম্মত তাদের কাছে যে শরী‘আত এসেছে, সেটা অনুসারে আমল করে। সুতরাং তাওরাত ছিল ইবাদাত ও শরী‘আতের পদ্ধতি, কিন্তু তা ছিল মূসা আলাইহিস সালামের সময় হতে ঈসা আলাইহিস সালামের সময় পর্যন্ত। আর ইঞ্জীল ছিল ইবাদাত ও শরী‘আতের পদ্ধতি, তবে তা ছিল ঈসা আলাইহিস সালামের সময় হতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় পর্যন্ত। সে ধারাবাহিকতায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের জন্যও আল্লাহ্‌ তা’আলা ইবাদাত ও হজ্জের নিয়মাবলী ...

নূর

  নূর ٱللَّهُ نُورُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۚ مَثَلُ نُورِهِۧ كَمِشْكَوٰةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌۖ ٱلْمِصْبَاحُ فِى زُجَاجَةٍۖ ٱلزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّىٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَٰرَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِىٓءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٍۗ يَهْدِى ٱللَّهُ لِنُورِهِۧ مَن يَشَآءُۚ وَيَضْرِبُ ٱللَّهُ ٱلْأَمْثَٰلَ لِلنَّاسِۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ  আন-নূর - 24:35 Bengali - Tafsir Abu Bakr Zakaria আল্লাহ্‌ আসমানসমূহ ও যমীনের নূর [১], তাঁর [২] নূরের উপমা যেন একটি দীপাধার যার মধ্যে আছে এক প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আবরণটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত, তা জ্বালানো হয় বরকতময় যায়তূন গাছের তৈল দ্বারা [৩] যা শুধু পূর্ব দিকের (সূর্যের আলোকপ্রাপ্ত) নয় আবার শুধু পশ্চিম দিকের (সূর্যের আলোকপ্রাপ্তও) নয়, আগুন তাকে স্পর্শ না করলেও যেন তার তৈল উজ্জ্বল আলো দিচ্ছে; নূরের উপর নূর! আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছে হেদায়েত করেন তাঁর নূরের দিকে। আল্লাহ্‌ মানুষের জন্য উপমাসমূহ বর্ণনা করে থাকেন এব...