কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা
মুসলিমদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে সকল কাফের যুদ্ধ করে' তাদের সহযোগিতা করা মারাত্মক বড় কুফরি । যারা এ ধরনের কাজ করে তারা কোন ক্রমেই মুসলিম হতে পারে না। এ কাজটি হল ইসলাম বিনষ্টকারী ও ঈমানহারা হওয়ার অন্যতম উপকরণ। এ ধরনের কাজ করলে সে মুরতাদ বা বেঈমান (মুনাফেক)হিসেবে বিবেচিত হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর। পরস্পরের প্রতি সদয়। [সূরা ফাতহ, আয়াত ২৯]
হে ঈমানদারগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে(কাফেরদেরকে) বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। [সূরা মুমতাহিনাহ, আয়াত ১]
হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না- যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরিকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারাই যালিম। [সূরা তাওবাহ, আয়াত ২৩]
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও বলেনঃ যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না। যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি গোষ্ঠী হয়। এদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে রূহ দ্বারা তাদের শক্তিশালী করেছেন। তিনি তাদের প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাত সমূহে যার নিচে দিয়ে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। এরা হল আল্লাহর দল। জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর দলই সফলকাম। [সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ২২]
হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের(ঈমানদার) ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা (কাফেররা) তোমাদের সর্বনাশ করতে ত্রুটি করবে না। তারা তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি কামনা করে। তাদের মুখ থেকে তো শত্রুতা প্রকাশ পেয়ে গিয়েছে। আর তাদের অন্তরসমূহ যা গোপন করে তা মারাত্মক। অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াত সমূহ স্পষ্ট বর্ণনা করেছি। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১১৮]
হে মুমিনগণ, তোমরা মুমিনগণ ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর জন্য তোমাদের বিপক্ষে কোন স্পষ্ট দলীল সাব্যস্ত করতে চাও?[সুরা নিসা, আয়াত ১৪৪]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন